• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩  

পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা ‘লাইলাতুল কদর’ বা শবে কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘শবে বরাত’ নিয়ে এবং শবে বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহ্দের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে- লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনো অবকাশ নেই।

পবিত্র কোরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতাই লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ (কোরআনকে) কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জান, কদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাস হতেও উত্তম-কল্যাণময়’ (সূরা আল কদর : ১-৩)। এ রাতটি কোন মাসে?

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রমজান এমন মাস যাতে কোরআন নাজিল হয়েছে-’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

তবে এ রাতটি রমজানের কোন তারিখে? বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেননি। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোনো বেজোড় রাতে খোঁজ কর’।

এ রাতের আরো একটি গুরুত্ব হলো এ পবিত্র রাতেই কোরআন নাজিল হয়েছে। আর কোরআনের সঙ্গেই মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এজন্য কদরের আর একটি অর্থ হলো- ভাগ্য। তাহলে লাইলাতুল কদরের অর্থ হয় ভাগ্য রজনী।

যে মানুষ, যে সমাজ, যে জাতি, কোরআনকে বাস্তব জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করবে তারা পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে সম্মানীত হবে। এ রাতে নাজিলকৃত কোরআনকে যারা অবহেলা করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

এ রাতেই মানব কল্যাণে আল্লাহ মানুষের জন্য চূড়ান্তু সিদ্ধান্ত ফেরেস্তাদের জানান। আল্লাহ বলেন- ‘এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয়।’ (সূরা: দুখান, আয়াত: ৪)

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা